নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: ভারতের বরাক নদী দিয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে জকিগঞ্জের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে ডাইক ভেঙে এক মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে অবনতি হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ছবড়িয়া, রারাই, বাখরশাল, পৌর এলাকার নরসিংহপুরসহ কয়েকটি এলাকায় ডাইক ভেঙে ও ডাইক উপচে নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে প্রায় ৮৫টি গ্রামের লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী বুধবার বিকেল পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সময় সময় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে জকিগঞ্জ পৌর এলাকার একটি অংশসহ উপজেলার পাচঁটি ইউপিতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। পরপর তিনবার বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে উপজেলার নি¤œাঞ্চলের লোকজনের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌছেঁছে। বন্যাকবলিত এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ গোরস্থানসহ গ্রামীণ রাস্তাঘাট এবং শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কের একটি অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। চলমান পরিস্থিতিতে রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, পানিবাহিত রোগবালাই ও গবাদিপশুর খাবার সংকটে চরম দুর্ভোগে বানভাসিরা।
বানভাসিরা জানান, জুলাই মাসের বন্যার সময় যে ডাইকগুলো ভেঙে ছিলো ওই ডাইক ইউপি চেয়ারম্যান মেরামত করলেও আবারও পানি বাড়ার কারণে ভেঙে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সময়মতো ডাইক সংস্কার না করার কারণে একের পর এক বন্যার ধকলে তারা চরম ক্ষতিগ্রস্থ। গৃহপালিত পশুপাখি নিয়েও চরম বিপাকে রয়েছেন।
ছবড়িয়া গ্রামের জীবান উদ্দিন সেতু মিয় বলেন, ডাইকের পাশে তার বাড়ি ছিলো। পানির ¯্রােতে ঘর ভেঙে ভেসে গেছে। পরিবার সদস্যদের নিয়ে এখন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসলিম জানান, এখন পর্যন্ত উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। পাচঁটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে রয়েছে প্রশাসন। জুন মাসের ৩০ তারিখে প্রতিটি ইউপিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ওই বরাদ্দ এখন বিতরণ করা হবে। নতুন করে চাহিদা পাঠানো হবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
Leave a Reply